top of page

ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন?



শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) দেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণ করেছেন। গত রাতে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এ সময় ১৬ জন উপদেষ্টার নাম ঘোষণা করা হয়, যার মধ্যে ১৩ জন শপথ নিয়েছেন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা এদিন শপথ নিতে পারেননি।


আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো থাকবে, যার মধ্যে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়সহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ।


**উপদেষ্টাদের দায়িত্ব বণ্টন:**

- সালেহ উদ্দিন আহমেদ: অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়

- ড. আসিফ নজরুল: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

- আদিলুর রহমান খান: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

- এ এফ হাসান আরিফ: শিল্প মন্ত্রণালয়

- মো. তৌহিদ হোসেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়

- শারমিন মুরশিদ: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়

- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

- ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

- ফরিদা আখতার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

- নুরজাহান বেগম: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

- মো. নাহিদ ইসলাম: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

- আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়


**শপথ নেয়নি তিন উপদেষ্টা:**

ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. বিধান রঞ্জন রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, এবং মুক্তিযুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপটের উপ-অধিনায়ক ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক এদিন শপথ নিতে পারেননি। তারা শপথ নিলে প্রধান উপদেষ্টার অধীনে থাকা কিছু দফতর কমানো হতে পারে।


নতুন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে দেশকে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আশা করা হচ্ছে।

 
 
 

Comments


bottom of page