নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশের বাইরে যাবে না: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

বাংলাদেশে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর আয়োজন নিয়ে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে আশার বাণী শোনালেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি জানিয়েছেন, দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেও এই বিশ্বকাপের আয়োজনে তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করবেন।

গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) শপথ নেওয়া আসিফ মাহমুদ গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি আমার চোখে পড়েছে। আমি এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করি, এটা বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময়ে যদি এ রকম কিছু ঘটে, তাহলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে।”

দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। তবে বিসিবির নীতিনির্ধারণী মহলের অধিকাংশ সদস্য অনুপস্থিত থাকায় নারী বিশ্বকাপের আয়োজন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এই অবস্থায় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার আশ্বাস নতুন করে আশার আলো জ্বালিয়েছে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, “আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আমাদের নেতৃত্বে আছেন, যিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি কদিন আগে অলিম্পিকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে আশা করি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারব। এটা আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”

তিনি আরও জানান, “আমি মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার সুযোগ পাইনি এখনও। গত বৃহস্পতিবার শপথ হয়েছে। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদের আনুষ্ঠানিক অনেক সভা হয়েছে। আমাদের অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে। এখন দেশ গঠনের সময়।”

যদিও রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত, কিন্তু যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার আশ্বাস বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর। আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন এখন নির্ভর করছে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর।